Well-known Bengali poet, academician, Tagore-scholar and theoretician, Sankha Ghosh (February 5, 1932 – April 21, 2021) was known for his mastery over language and an absolute control over the form of poetry that bestow his poems with an exemplary quality of proportion, grace and depth. His poems convey insight, message, and anguish but are refreshingly free of small polemics despite often being critical of establishment and government of all hues, hard-hitting and strident.
While Ghosh is lyrical, reflective, and introverted in some of his poems, some other poems reflect a sense of unease towards diverse failings of our society and shortcomings of existence. There is a third strain in his poems which builds a bridge between the inner world and the outer one—combining two apparently opposing forces, viz. the centrifugal and the centripetal. His commitment as a poet has always made him respond to contemporary socio-political events through poems written in sharp satirical language. His poems have been translated into a number of Indian and foreign languages.
His theoretical contribution includes a large oeuvre of critical prose on a variety of literary and cultural subjects as well as social transactions. He is considered one of the major Tagore-scholars critically assessing Tagore’s philosophy and his contributions to literature and society. His creations include a large body of translations and a considerable body of prose and poetry for the adolescents.
An iconic teacher, he has left behind hundreds of charmed students.
Sankha Ghosh was the recipient of many awards and honours.
বাঙালী কবি, অধ্যাপক, রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক এবং তাত্ত্বিক শঙ্খ ঘোষ (৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ – ২১ এপ্রিল, ২০২১) তাঁর ভাষা-ব্যবহারের দক্ষতা এবং কবিতার বিশিষ্ট শৈলীর জন্য সুপরিচিত, যে শৈলীতে মিলেমিশে আছে আদর্শ মাত্রাজ্ঞান, গভীরতা এবং সৌকর্য। তাঁর কবিতায় যন্ত্রণা এবং অন্তর্দৃষ্টির পাশাপাশিই ফুটে ওঠে সংবেদনশীল বার্তা। লেখায় বিভিন্ন মতাদর্শের সরকার অথবা বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের নিরন্তর সমালোচনা থাকলেও তাতে কখনও সচেতনভাবে সংকীর্ণ বিতর্কবাদী রাজনীতি বা তিক্ততার ছোঁয়া লাগেনি।
শঙ্খ ঘোষের কবিতা মোটের ওপর তিনটি ধারায় বয়েছে। একটি ধারা অন্তর্মুখী, সংহত এবং মৃদু। আরেকটি ধারায় প্রকাশ পায় আমাদের পরিপার্শ্বের সমস্ত সামাজিক তথা রাজনৈতিক অন্যায় এবং অসঙ্গতির বিষয়ে অস্বস্তি। তৃতীয় একটি ধারা এই দুই আপাত পরস্পরবিরোধী স্রোতের মেলবন্ধন; কেন্দ্রীভূত আর কেন্দ্রাতিগের নিরবচ্ছিন্ন বোঝাপড়া। কবি হিসেবে দায়বদ্ধতার তাগিদে ওঁর কবিতায় বারবার প্রকাশ পায় সমসাময়িক সামাজিক তথা রাজনৈতিক অসঙ্গতিগুলির প্রতি তীক্ষ্ণ শ্লেষ। ওঁর বহু কবিতা বিভিন্ন ভারতীয় এবং বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
তাত্ত্বিক হিসেবে তাঁর অবদানের মধ্যে আছে শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা আর সেসবের প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে গদ্যের এক মূল্যবান সম্ভার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা-ভাবনা, দর্শন এবং বাংলা সাহিত্যে তথা সমাজজীবনে তাঁর কাজের গুরুত্ব এবং প্রভাব প্রসঙ্গে প্রামাণ্য এবং বাস্তবানুগ মূল্যায়নের জন্য শঙ্খ ঘোষ সর্বাগ্রগণ্য রবীন্দ্র-ভাষ্যকারদের একজন। এছাড়াও তিনি রেখে গেছেন বহু দেশী এবং বিদেশী লেখকের কাব্য, নাটক আর গদ্য অনুবাদের এক বিপুল সম্ভার এবং শিশু-কিশোর পাঠকদের জন্য প্রচুর গদ্য ও কবিতা।
দীর্ঘকাল অধ্যাপনার সূত্রে তিনি রেখে গেছেন অগণিত গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী।
ছাত্রজীবন থেকেই পেয়েছেন বহু সম্মান আর পুরস্কার।